নবাবগঞ্জে ৪’শত লিটার চোলাই মদসহ আটক ২
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার নবাবগঞ্জে ৪’শত লিটার চোলাই মদসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। আটকৃতরা হলেন-উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের নিলাম্ভারপট্টি গ্রামের মৃত মুসলিম খানের ছেলে জালাল খান(৩৮) ও রুপারচর গ্রামের সাগর বেপারীর স্ত্রী পিয়াড়া বেগম (২৬)।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রুপারচর এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ স‚ত্রে জানা গেছে, রুপারচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলা মদের ব্যবসা করে আসছিল বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় তিনটি বাড়ি থেকে মোট ৪ ’শত লিটার চোলাই মদ ও ১০ গ্রাম গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়। এছাড়া দেশীয় মদ তৈরির কয়েকটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকবছর আগে এই রুপারচর এলাকায় বাংলা মদ তৈরি অনেকটাই নির্মূল হয়েছিল। ওই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণও করেছিল নবাবগঞ্জে একটি মাদক বিরোধী অনুষ্ঠানে। এই পথ (মাদক ব্যবসা) ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হবেন বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ কয়েক মাস যাবৎ এই রুপারচরে আবারও বাংলা মদের ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সুত্র থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তথ্য আসে।আর এই মদ সরবরাহ হয় দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।
জানা গেছে, এই বাংলা মদ তৈরি ও বিক্রির পেছনে বড় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তবে প্রভাবশালী এই সিন্ডিকেট কারা? কী তাদের পরিচয়? জড়িতরা কী কোন রাজনৈতিক দলের নেতা? এসব প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে ঘুরপাক খেলেও প্রতিবাদ করতে সাহস পান না বলে জানান। যারা এই দেশীয় মদ তৈরিতে শেল্টারদাতাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মমিনুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বসতবাড়ি থেকে দেশীয় চোলাই মদসহ দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪’শত লিটার দেশীয় মদ এবং মাদক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আটককৃত দু'জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নবাবগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।