ডার্ক মোড
Tuesday, 16 September 2025
ePaper   
Logo
দোহারে মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সভা বক্তব্য

দোহারে মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সভা বক্তব্য

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারী নূরুল হক বেপারীকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আংশিকের একটি গ্রæপের মধ্যে চলছে তুমূল হৈচই। একপক্ষ বলছে নুরুল হক বেপারী কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। অপরপক্ষ বলছে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নাই। অর্থের বিনিময়ে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে হাত করে সে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন বলে দাবী করেন মুক্তিযোদ্ধাদের আংশিকের একটি গ্রæপের নেতারা। এ নিয়ে দোহারে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সোস্যাল মিডিয়াতে বইছে ঝড়।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব আলী মোল্লা ও যুদ্ধকালীন দায়িত্বরত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.আবুল কালাম গনমাধ্যমে বলেন, ৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক বেপারী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ খালাসী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ওহাব মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মান্নান কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমসহ অসংখ্য মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা সবাই তাদের বাড়িতে রীতিমত আসতেন ও খাওয়া-দাওয়া করতেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। বর্তমানে কিছু মুক্তিযোদ্ধা অযথা না বুঝেই সমস্যা তৈরী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ দলপাকানোরা কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছে,তা আমরা জানি না।সামনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচন। নির্বাচনে ফায়দা লুটতে কয়েকজন কল্প-কাহিনী তৈরী করেছেন।

নুরুল হক বেপারীর বিপক্ষের ১২/১৪ জনের মুক্তিযোদ্ধাগন গত কয়েক দিন আগে উপজেলার দোহার জেনারাল হাসপাতালে ৬ তলায় অবস্থিত সভাকক্ষে স্থানীয়দের নিয়ে সভা করেন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. বোরহান, ইব্রাহীম খলিল সবুজ, এইচ এম মহিউদ্দিন, মোল্লা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, মো. তারিক আলম, মো. জয়নাল আবেদীন,মো.গিয়াস উদ্দিন,করম আলী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। তারা অভিযোগ করেন, নুরুল হক বেপারীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পিছনে তার ভাই তবারক বেপারীসহ বেশ কয়েক জনের হাত রয়েছে। তার মিথ্যা সাক্ষি হয়েছেন। নুরুল হক বেপারীকে দোহারের কোথাও দেখা যায় নাই ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও নুরুল হক বেপারী বলেন, যুদ্ধকালীন সময় তার বয়স ১৩ বছর। যুদ্ধের কয়েক বছর পর লেখাপড়া সুবাদে লন্ডনে চলে যান। ১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশে আসেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের মার্চ মাসে তিনি প্রথম তার নাম মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যাচাই বাছাইকরণ কমিটিতে ঢাকা বিভাগে মোট ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম চুরান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রনালয়। বেসামরিক গেজেটে তার গেজেট নম্বর ৪২১৫। যাহা মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়েব সাইডে রয়েছে। এ ব্যাপরে কোন অভিযোগ থাকলে মন্ত্রনালয়ে যেতে পারেন অভিযোগকারীরা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন