
দুর্গাপুরে স্বামী হত্যার ফাঁদে খাবারে বিষ, শিশুর অবস্থা সঙ্কটজনক
দুর্গাপুর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন গৃহবধূ রিপা খাতুন। ভাগ্যক্রমে স্বামী ওই খাবার না খেলেও ভুলক্রমে সেই খাবার খেয়ে ফেলেন তাদেরই ১০ মাস বয়সী শিশু সন্তান। বিষ মেশানো খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিশু। বর্তমানে শিশুটিকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম রিপা খাতুন (২২)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট গ্রামের মো. টিটুর মেয়ে। দুর্গাপুর উপজেলা পালশা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মমিনুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় রিপার। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকতো।
জানা গেছে, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে রিপা খাতুনের সঙ্গে মমিনুর রহমানের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। কিছুদিন আগে স্বামীর উপর অভিমান করে রিপা বাবার বাড়ি চলে যান। পরে পরিবারিকভাবে সমঝোতা হলে তাকে আবার স্বামীর ঘরে ফিরিয়ে আনা হয়। এরই মাঝে তাদের সংসারে আসে একমাত্র সন্তান আইয়ান আহমেদ। যার বয়স মাত্র ১০ মাস।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রিপা খাতুন বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বামী মমিনুরকে চাপ দেন। মমিনুর রাজি না হলে একপর্যায়ে রিপা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। রাতে মাংসের তরকারির সঙ্গে জমিতে দেওয়া বিষ মিশিয়ে দেন রিপা খাতুন। রাতের বেলা তাদের একমাত্র সন্তান আইয়ান ঘুম থেকে উঠে কান্না শুরু করলে মমিনুর না জেনে বিষ মেশানো তরকারি দিয়ে তার সন্তানকে সামান্য পরিমাণ ভাত খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ শিশু আইয়ান বমন করতে থাকে।
এ সময় রিপা নিজেই স্বীকার করেন, তিনি তরকারিতে বিষ মিশিয়ে ছিলেন। পরে মমিনুর দ্রুত তার সন্তানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ অবগত রয়েছে বলে জানিয়েছে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। পরিবারের লোকজন ঘটনা মিটিয়ে নেয়ার কথা বলেছে।