ডার্ক মোড
Friday, 22 November 2024
ePaper   
Logo
টাঙ্গাইলে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

টাঙ্গাইলে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার ৯নং ওয়ার্ড সদস্য পদে স্থানীয় সংসদ সদস্য তার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য হিসেবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ওয়ার্ডের সদস্য পদের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মোশারফ হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু সমর্থন করেছেন দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস. প্রতাপ মুকুলকে। মুকুল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড দেলদুয়ার উপজেলা থেকে সদস্যপদে আরো দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে একজন হাতি প্রতীক নিয়ে গোলাম কিবরিয়া ও ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রভাংশু রঞ্জন সোম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

লিখিত অভিযোগে মোশাররফ হোসেন জানান, তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে তিনি বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য তার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তিনি ইতিমধ্যে আটটি ইউনিয়নের ভোটারদের (ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের) নিয়ে সভা করেছেন। সে সভায় তার মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হলে প্রত্যেককে এক লাখ টাকার টিআর দিবেন বলে উল্লেখ করেন। তাদের কাছ থেকে প্রকল্পের একটি তালিকাও জমা নিয়েছেন।

সভায় সংসদ সদস্য বলেছেন তিনি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে যেকোনো মূল্যে ভোটারদের ভোট আদায় করে নিবেন। ভোটারদের তার প্রার্থীকে ভোট দেয়ার পর মুঠোফোনের ক্যামেরাতে ছবি তুলে দেখাতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সংসদ সদস্য প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেয় নিক। দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন এম শিবলী সাদিক জানান, জেলা পরিষদের নির্বাচনে কাউকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। দেলদুয়ার থেকে দলে সদস্যপদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নেতাকর্মীরা মনে করেছিল সংসদ সদস্য সবার অভিভাবক তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন। কিন্তু তিনি একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট নেয়ার জন্য প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন