ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা দিয়ে নতুন করে ১৩ জন নারী শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তবর্তী ভগবান টিলা দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বলে জানান মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম।
এনিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গত মে মাস হতে এ পর্যন্ত ১৪৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ।

জানা যায়, পুশইন করা ১৩জন নারী শিশু ও পুরুষ লোক ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার কাপরখায়ের থানার ওয়াশী গ্রামে বসবাস করতেন। বিএসএফ তাদের ধরে এনে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে জোরপূবর্ক  বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি তাদের তানাক্কা পাড়ায় একটি পাড়া কেন্দ্রে নিয়ে রাখে। এখন বিজিবি ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে তারা ঐপাড়া কেন্দ্রে আছে।
এদিকে পুশইনের শিকার লোকজন জানিয়েছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক। নড়াইল জেলার বাসিন্দা। পুলিশ তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করছে। তারা বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক হলে তাদেরকে নড়াইলে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও মনজুর আলম।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ৩০ মে মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং সীমান্ত দিয়ে ১৪জনকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়। এর চারদিন আগে ২৬ মে একই সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। 

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুশইন হয়ে আসা ব্যক্তিদের বৈধ নাগরিকত্ব যাচাই করে বাংলাদেশী প্রমাণিত হলে তাদেরকে স্ব স্ব ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয়।  মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে সর্বশেষ পুশইন হয়ে আসা ১৩ জনের নাগরিকত্বের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। প্রকৃত বাংলাদেশী হলে তাদেরকেও স্ব স্ব এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।