ডার্ক মোড
Friday, 18 July 2025
ePaper   
Logo
জুলাই আন্দোলনের নেতাদের পদযাত্রায় বাধা দিয়ে ফেরানো যাবে না: নাহিদ

জুলাই আন্দোলনের নেতাদের পদযাত্রায় বাধা দিয়ে ফেরানো যাবে না: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। গোপালগঞ্জকে এই ফ্যাসিস্টরা তাদের আশ্রয় কেন্দ্র বানিয়েছে। এই জেলার সাধারণ মানুষকে মুজিবাদ থেকে মুক্ত করব। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি।

ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কোনো সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, সেখানে চারজন মানুষ বিচার বহির্ভূতভাবে মারা গিয়েছে, আমরা সন্ত্রাসীদেরও মানবাধিকার বিশ্বাস করি। আমরা ৫ আগস্ট বলেছিলাম, বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

এনসিপি নেতা বলেন, প্রশাসনের ভেতর তাদের দোষর রয়েছে। আমি তাদের বলতে চাই অপরাধীদের বিচার না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না। এখনও সময় দিচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করুন।

জুলাই আন্দোলনের নেতাদের পদযাত্রায় বাধা দিয়ে ফেরানো যাবে না: নাহিদ

গোপালগঞ্জে আবারও যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জেলার মানুষকে সম্পূর্ণভাবে মুজিববাদ মুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা ভেবেছিল এই জুলাই পদযাত্রাকে বাধা দিয়ে থামিয়ে দেবে, তারা ভুলে গেছে কাদের সামনে দাঁড়িয়েছে। যারা মৃত্যুর মুখ থেকে বার বার ফিরে এসেছে, তারা এ সকল হামলা বাধায় ফিরবে না। ৬৪ জুলাই পদযাত্রা করেই আমরা ঘরে ফিরবো। 

দেশবাসীর কাছে দলের ওয়াদার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ৩ আগস্টের মধ্যেই সকল জেলার পদযাত্রা শেষ হবে এবং ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে আমরা ইশতেহার ও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে অবস্থান নেবেন তারা।

আজ দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ফরিদপুর সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা করে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে পথসভার মঞ্চে উপস্থিত হন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। 

ফরিদপুরের এনসিপির প্রধান সমন্বয়ের সৈয়দা নীলিমা দোলার সভাপতিত্বে পথসভায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, এদেশের মানুষ আর কোনোদিন আওয়ামী বা মুজিববাদের রাজনীতি দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, ভারতের সেবা দাস আওয়ামী লীগের দালাল ও দোসরা চুপিসারে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে টেনে আনার স্বপ্ন দেখছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ বলার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগকে ছাড়া নাকি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গত ১৪, ১৮ ও ২৪ শের ভোটারবিহীন একদলীর নির্বাচন করে এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফেরার আর কোনো সুযোগ পেতে পারে না।

আখতার আরও বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগ যে গুম খুন নির্যাতন করেছে। ওই দলের নেতারা দেশের মানুষের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে জোর করে চাঁদা তুলেছে। এক বছর পেরিয়ে গেছে অন্তবর্তী সরকারের। কিন্তু তাদের এখনও আইনের আওতায় আনতে পারেনি।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা 'সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এবং তার নেতাকর্মীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সভায় সারজিস আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুবশক্তির তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। 

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন