
চিলমারীতে ৩০০ ভিজিএফ কার্ড দাবি করে বহিষ্কার হলেন ছাত্র সমন্বয়ক
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য মো: রিয়াদ মিয়া (২০) নামে একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চিলমারীর সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে থানাহাট ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে ৩’শ টি ভিজিএফ কার্ড দাবি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোঃ ফয়সাল আহমেদ সাগর বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ১১ মার্চ চিলমারী উপজেলার ৩ নং থানাহাট ইউনিয়ন পরিষষ সভাকক্ষে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংক্রান্ত আলোচনা সভা চলাকালীন মোঃ রিয়াদ মিয়া ভেতরে প্রবেশ করে নিজেকে চিলমারীর সমন্বয়ক পরিচয় দেন। এ সময় তিনি পরিষদের নাগরিকদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের মধ্যে ৩’শ কার্ড দাবি করেন। এ ঘটনায় প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও উপস্থিত স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
প্যানেল চেয়ারম্যান সাইয়েদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রিয়াদ নামে ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতা ৩’শ ভিজিএফ কার্ড দাবি করেছিলেন।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এর সত্যতা পান। ১৮ মার্চ মো: রিয়াদ মিয়াকে জেলা কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বহিষ্কৃত জেলা কমিটির সদস্য মোঃ রিয়াদ মিয়া জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে দেয়া হয়েছে এখানে সদস্য সচিব নিজে সাক্ষর করেছে বহিষ্কার বিষয়ে আহবায়ক কিছুই জানে না। আমাকে হেয় করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোঃ ফয়সাল আহমেদ সাগর বলেন,’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনোই কোনো ধরনের অনিয়ম, চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিকে প্রশ্রয় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না। কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে লিপ্ত হয়, তবে সেই দায় সংগঠন নেবে না। রিয়াদ’কে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
চিলমারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান শান্ত বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সঠিক ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো। বহিষ্কারের বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক।