এই ভুয়া কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
অতীতে কখনো কোনো সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন হয়েছে বলে আমি দেখিনি। এবারও এই ভুয়া কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন হবে না– এমন মন্তব্য করেছেন বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক ও বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মসিউর রহমান।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারদের ৫০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ মসিউর রহমান বলেন, যে কোটার জন্য আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা জীবন দিয়েছে আমরা সেই কোটা মানি না এবং মানব না। আমরা তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারি না। অতীতে কোনো কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন হয়েছে বলে আমি দেখিনি। এবারও এই ভুয়া কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন হবে না।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের যারা রয়েছেন তাদের সবাই বিতর্কিত। এই কমিটিতে কাস্টমস ক্যাডারের এক কর্মকর্তা রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে এখনো দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সুতরাং এ কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। এই কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ারও দরকার নেই।
প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তা বলেন, আজ এখানে যারা এসেছেন তারা সাহস নিয়ে এসেছেন। আপনাদের এ সাহসকে স্বাগত জানাই। আমরা এমন একটা প্রশাসন চাই যেখানে দলীয় লেজুড়বৃত্তি থাকবে না।
এর আগে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।