ডার্ক মোড
Friday, 22 November 2024
ePaper   
Logo
ঈশ্বরদীতে স্বামীর উর অভিমান করে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঈশ্বরদীতে স্বামীর উর অভিমান করে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

একাধিকবার মোবাইলে কল করেও স্বামী কল রিসিভ না করায় অভিমান করে আত্মহত্যার করেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী সিফা খাতুন(১৬)। সে সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের কৃষক হিছাব আলীর মেয়ে । সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে বাবার বাড়ি ভাড়ইমারী গ্রামের নিজ ঘরে। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠিয়েছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

আত্মহত্যার বিষয়ে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা জানান, করোনাকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দাশুড়িয়ায় সিফা খাতুনের বাল্যবিয়ে হয়। নিহত ওই শিক্ষার্থীর স্বামী চট্টগ্রামে কাজ করেন। বাবার বাড়ি থেকে মেয়েটি চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। সোমবার ইংরেজি পরীক্ষা দিয়ে আসার পর থেকে সে তার স্বামীকে বারবার ফোন করছিল। কিন্তু তার স্বামী ফোন রিসিভ না করায় তার অভিমান হয়। এ কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সোমবার সকালে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সিফা। মঙ্গলবার সকালে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যায়ও সে বাড়িতে স্বাভাবিক ছিল। রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন সিফাকে ডাকাডাকি করেন। এ সময় কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতর ঢুকেই দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে তার মরদেহ। পরে থানায় খবর দিলে গভীর রাতে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সিফার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে পুলিশ মরদেহটি থানায় আনা হয়। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আসল কারণ জানা যাবে। এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

 

 

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন