
আর কোনো আছিয়ার লাশ দেখতে চাই না, ধর্ষকের বিচার চাই : গণফোরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কে গণফোরামের উদ্যোগে ধর্ষণ,নারী নির্যাতন,খুন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম সভাপতি পরিষদ সদস্য জননেতা সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, দেশে ধর্ষণ, খুন, অন্যায়, অত্যাচার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে মানুষ নিরাপদ ঈদ যাত্রা করতে ভয় পাচ্ছে। তিনি আইন শৃঙ্খলা পুনুরুদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে এক লক্ষ রোহিঙ্গা নিয়ে উন্নতমানের ইফতার করেছেন ড.ইউনুস সাহেব। কিন্তু এদেশের মানুষ সাধারণ ইফতার করতে পারে না।
বিগত সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল যা আমাদের গলার কাঁটা, অনতিবিলম্বে এদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন। মহাসচিবকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুলে বলুন। মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নাই। ধর্ষিতরা বিচার পাচ্ছে না। ধর্ষণকারীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। আছিয়াসহ সকল নির্যাতিতের বিচার চাই। আমরা আর কোন আছিয়ার আর লাশ দেখতে চাই না। বর্তমান সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত কর্পোরেট হাউজের মালিকদের বিচার না করে ব্যাংক থেকে নতুন করে অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে।পুলিশ বাহিনীর উপর আক্রমণ হয়,পুলিশের কাছ থেকে আসামির ছিনতাই হয়,সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয় না, সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না, এতে করে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করবেন না। যদি দেশ পরিচালনা করতে না পারেন, অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
সাধারণ সম্পাদক ডা.মো.মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন,খুন,ছিনতাই ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ কোনো ধরনের অন্যায় অত্যাচারের বিচার হচ্ছে না।অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা হয় না। ওরা প্রশাসনকে ভয় পায়। তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান। ছাত্রদের হাতে এখনো পাঠ্য বই পৌঁছায়নি। অবিলম্বে ছাত্রদের হাতে পাঠ্য বই দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
তিনি আরো বলেন,গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কামাল হোসেন বলেছেন জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করা যাবে। ক্ষমতাসীনরা সংবিধান বাতিল করে পুন:লিখন করতে চায়।মুক্তিযুদ্ধের সকল চিহ্ন ও স্মৃতি মুছে ফেলতে চায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন করা দুরুহ হবে।
আরো বক্তব্য রাখেন,এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক,রওশন ইয়াজদানী,লতিফুল বারী হামিম, রফিকুল ইসলাম পথিক, মির্জা হাসান, মাসুদুর রহমান মাসুদ,মোহাম্মদ উল্লাহ মধু,আজম রূপু,হাবিবুর রহমান বুলু,নূরনবী,নাজমুল ইসলাম সাগর,আমিনুল ইসলাম,আশরাফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম,এ্যাডভোকেট মজিবুল হক, এডভোকেট সাগরিকা ইসলাম, জাহান ঝুমু, সানজিদ রহমান শুভ প্রমূখ।