ডার্ক মোড
Saturday, 19 July 2025
ePaper   
Logo
আওয়ামী দোসর এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ

আওয়ামী দোসর এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ

 

 

গংগাচড়া থেকে ফিরে মোঃ লাভলু শেখ

বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগের দোসর এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রংপুর জেলার
গংগাচড়া উপজেলার বড়াইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেনে পৈতৃক সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করছে। তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেছেন মেসার্স পাপড়ি ফিলিং স্টেশনের প্রয়াত মালিক মো. ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী ও ৩ কন্যা। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষক আলমগীর ওয়াজেদ আলীর মৃত্যুর পরপরই পারিবারিক পুকুরে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু ভরাটের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা চালান।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ওয়াজেদ আলী গত ১৪ জুন ২০২৫ তারিখে মারা যান। তার মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশ ঘেঁষা ওয়াজেদ আলীর পৈত্রিক পুকুরে বালু ফেলে তা ভরাটের চেষ্টা চালান। এতে বাধা দেন ওয়াজেদ আলীর শোকাহত স্ত্রী ও ৩ কন্যা। পরবর্তীতে তারা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে ইউএনও ভরাট কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন এবং নিজে সরেজমিনে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে প্রধান শিক্ষককে দোষী সাবস্ত করে বলে অভিযোগকারীদের দাবি।

তবে অভিযোগ রয়েছে, ইউএনওর নির্দেশ সত্ত্বেও শিক্ষক আলমগীর হোসেন পেছনে থেকে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে হেনস্তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মৃত ওয়াজেদ আলীর পরিবার ও এলাকাবাসীর একাংশ দাবি করেছে, উক্ত পুকুরটি ওয়াজেদ আলীর বাবার সম্পত্তি এবং তা কখনোই বিদ্যালয়ের নামে লিখে দেওয়া হয়নি। সেখানে ওয়াজেদ আলী নিজে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, স্কুলের নামে দখলের নামে আসলে এটা ছিলো প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা।

প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম ও ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করার অভিযোগে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ওই অভিযোগের জেরে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতপন্থী নেতাকর্মীরাও প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানান, আমরা একমাত্র পুরুষ অভিভাবক হারিয়ে শোকাহত অবস্থায় ছিলাম। ওই সময় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা অত্যন্ত অমানবিক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে। ওই প্রধান শিক্ষক নিজেকে ভালো সাজতে একটি পএিকায় প্রতিবাদ দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো কাজ করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন