
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক,দেশি-বিদেশি ঋণ নির্ভর-গণফোরাম
নিজ্বস প্রতিনিধি
সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে মঙ্গলবার গণফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ডা.মো.মিজানুর রহমান বাজেটের উপর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
পুরনো কাঠামোর বাজেটের এদিক ওদিক কিছু পরিবর্তন করেই নতুন বাজেট দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম নেত্ববৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাজেটে জনগণের চাহিদা পুরণের পরিবর্তে বাজেটে জনগণের উপর করের বুঝা বাড়িয়ে মধ্যবিত্তদের ক্ষুদ্র শিল্প ধবংসের বাজেট পেশ করা হয়েছে।গণফোরাম মনে করে যে,একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি ওখানে একটু কম এরকম করে নেওয়া হয়েছে বাজেটে। সরকার এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে চাইলে অর্থনীতিবিদদের মতে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাবে ৩০% মানুষ। বৈষম্যবিহীন সমাজের কথা বলা হলেও সেই উদ্দেশ্যটার সাথে বাস্তবের যে পদক্ষেপগুলোর কোন মিল নেই।সবক্ষেত্রে সেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গণফোরাম মনে করে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণেও সমস্যা সবমিলে যে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, তা আমলে নিয়েই বাজেট তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করে।
চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরের জন্য তা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আহরণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় এটা বড় বলে মনে করছে গণফোরাম।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য,কর্মসংস্হান ও কৃষি এই ৪টি খাতে এডিপিতে বরাদ্দ কমানোকে গণফোরাম উদ্ধিগ্ন।এছাড়াও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দৃশ্যমান হারে বিনোয়োগ কমিয়েছে সরকার।গণফোরাম মনে করে জনপ্রশাসনে যে বাজেট বরাদ্ধ করা হয়েছে তা অপচয় হতে পারে।
করের হার বাড়ানো হলেও কালো টাকা সাদা করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন গণফোরাম নেত্ববৃন্দ বলেন,যারা নৈতিকভাবে কর দেয় তাদের প্রতি এটা একটা আঘাত।বাজেটে শিক্ষা,গবেষণা,ট্রেনিং, কৃষি,শিল্প এবং প্রযুক্তি খাতে বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে গণফোরাম।
আন্তর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে গণফোরাম নেত্ববৃন্দ বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের আগে দেশের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও গুরুত্বপুর্ণ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের নিয়ে খাত ভিক্তিক আলোচনার করে তা বাস্তবায়নের।