
'নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবদেহে ৩৩ শতাংশ রোগের কারণ হিসেবে অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ বলে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে ওঠে এসেছে। পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্য খেলে শরীর পুরোপুরি সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখা সম্ভব বলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা জানান।
সোমবার রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে 'নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
কর্মশালায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী, খাদ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জন।
কর্মশালায় নির্ধারিত খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল, দূষক বা দূষণকারী জীবাণু, সার, কীটনাশক বা ভারী ধাতু, প্রক্রিয়াকরণ সহায়ক, খাদ্য সংযোজন বা সংরক্ষণ দ্রব্য, মাইকোটক্সিন, অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) মহাপরিচালক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান। তিনি প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণে প্রতিক্রিয়া আলোচনা করেন।
এছাড়াও তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ও দেশবাসীর কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান।
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ তার বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিন স্তরে সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যধিতে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। এগুলোর অন্যতম কারণ ভেজাল খাবার ও অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাস। ফলে খাদ্যাভ্যাসেও আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। আর ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এসব থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। এগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্প উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপপরিচালক সুমনা পারভীন।