
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা বেড়েছে। মূলত ৩টি কারণে এই বর্ষা মৌসুমে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। ফলে চড়া দামের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। এখনই দামের নাগাম টানতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল সপ্তাহে বন্দরের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৫০-৫২ টাকা দরে। কিন্তু হঠাৎ করেই পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। দেশের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের মজুদ অনেকাংশে কমে গেছে। যার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়ছে। বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা জাবেদ হোসেন জানান, ৫ থেকে ৬ দিন আগে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে কিনেছি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে বাজারে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে হতবাক হয়েছি। পরে দরকষাকষি করে ১৪০ টাকায় দুই কেজি কিনেছি। আচমকা দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট ছাড়া আর কি করার আছে?
আরেক ক্রেতা নুর হোসেন জানান, প্রশাসনের তদারকি দরকার। না হলে কোনো জিনিসেরই দাম কমবে না। অনেকে পেঁয়াজের সংকটের কথা বলে মজুদ রেখেছে। একারণে দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়া, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। আর বাজারে সরবরাহ কমে আসার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার আশঙ্কা থাকায় দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের এখন থেকে দেওয়া দরকার। এখনই দামের লাগাম টানতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানিতে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতে পেঁয়াজের বাজার এমনিতেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে ধারণা এই ব্যবসায়ীর।