
লক্ষীপুরে যুব উন্নয়নে চুরি ঘটনায় মামলা, দুই কর্মচারীকে কারণ দর্শানো নোটিশ
লক্ষীপুর প্রতিনিধি
লক্ষীপুরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে চুরির ঘটনায় কারণ দর্শানো নোটিস প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক মো: জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করা হয় প্রতিষ্ঠানের ল্যাব থেকে ৩৩টি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, র্যাম, প্রসেসর নিয়ে চোরেরা।
আজ শনিবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ খাঁন প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন ও হেলপার কাম গার্ড শাহজাহান কে চুরির কারণ দর্শানো নোটিস দেয়। এ দিকে মামলা দায়েরের পর সদর থানা এস আই আবদুল মতিন ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে অফিসের একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনার পরও ল্যাব ও ভবনের কোন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়নি। এছাড়া জেলা অধিদপ্তরের সিসিটিভির আওতায় থাকার নিয়ম রয়েছে অথচ এইখানে তা নেই।
চুরির বিষয়টি রহস্যজনক বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন। তিনি জানান. যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মূল গেইট ও প্রতিটি কক্ষের কোন দরজা জানালা বা তালা ভাঙ্গা হয়নি।
অথচ তিনতলার কম্পিউটার প্রশিক্ষানার্থীদের ল্যাবের রুমের তালা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করে মনিটর,পিসিসহ অন্য জিনিস চুরি না করে কম্পিউটারের ভিতরের হার্ডডিক্স ,র্যাম ও প্রসেসর চুরি করে নিয়ে যায়। এটার সাথে অফিসের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ খাঁন সাংবাদিকদের জানান গত বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময়ে অধিদপ্তরের কম্পিউটার ল্যাবের দরজার তালা কেটে রুমে ঢুকে কম্পিউটারের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুই কর্মচারীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জ,মাদারীপুর,মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরেও একই কায়দায় চুরি হয়। এসব বিষয়ে স্ব-স্ব জেলার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সর্তক ও ল্যাবের নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
২৪ জানুয়ারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্ম-সচিব পরিচালক(প্রশাসন) আবদুল লতিফ মোল্লা ও ২৭ জানুয়ারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আব: হামিদ খান স্বাক্ষরিত চিটিতে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।