ডার্ক মোড
Saturday, 12 July 2025
ePaper   
Logo
বসুন্ধরার সাংবাদিকরা স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছে: হাসনাত

বসুন্ধরার সাংবাদিকরা স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছে: হাসনাত

শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী
 
বসুন্ধরার সাংবাদিকরা আবারও স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। 
 
বলেন, “আমরা সাংবাদিকদেরও নজরে রাখছি। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে যাদের ভূমিকা ছিল, আমরা তা ভুলে যাইনি। বসুন্ধরার সাংবাদিকরা আবারো স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছে। তারা আরেকটি ১/১১ ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে।”
 
রবিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জুলাই পথযাত্রা শেষে সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিংকের কমেন্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার দেওয়া রাজশাহীর বক্তব্যকে আরও খোলাসা করেন। 
 
ওই কমেন্টে হাসনাত লিখেন, “সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি।”
 
ওই সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, “ডিসি-এসপিরা চাপে পড়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে এখন ভালো ব্যবহার করছেন। কিন্তু হাসিনার পতন না হলে তারাই গণভবনে প্রমোশনের লাইনে দাঁড়াতেন।”
 
তিনি বলেন, “তরুণ সমাজ আর দালালি করতে চায় না। বাবারা যখন ব্যর্থ হয়েছেন, তখন সন্তানেরা রাস্তায় নেমেছে। যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তারা আসলে জেন-জির বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের কোনো লুটপাটের ব্যাংক নেই। আছে মানুষের ভালোবাসা। আর সেটির জন্য আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।”
 
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। 
 
বলেন, “১৬ বছরের ডিসি-এসপিরা কী পরিণতি ভোগ করেছেন- তা ভুলে যাবেন না। স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিলে বাংলাদেশে আর আপনাদের ঠাঁই হবে না। আপনারা এনসিপি বা আওয়ামীপন্থী হন না কেন, জনগণের পক্ষে থাকতে হবে।”
 
রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তারা বিদেশি ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও দেশের ভেতরে বসে রাজনৈতিক দল খোলার খেলায় মেতে থাকে। আমরা তাদেরও নজরে রাখছি।”
 
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করছি না। বিচার ও সংস্কার ছাড়া ভোটের নামে প্রহসন চললে আমাদের বুকের ওপর দিয়েই গুলি চালাতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু সেটা জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কারেরভিত্তিতে।”
 
ওই সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “যারা সংস্কারের যাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে, তাদের কোনো দিন দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না। আমাদের এবারের লক্ষ্য বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও জাতীয় সংসদ ভবন জয় করা।”
 
নতুন একটি সংবিধান এই দেশের মানুষকে উপহার দেওয়া হবে জানান এনসিপির এই শীর্ষ নেতা।
 
পানির ন্যায্য হিস্যা ও সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও রাজশাহী থেকে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেন নাহিদ ইসলাম।
 
এসময় আরও ছিলেন- এনসিপির সদস্য সচিব আকতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
 
এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর রেলগেট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি রেলগেট থেকে নিউমার্কেট, রাণীবাজার মোড় হয়ে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে পথসভায় মিলিত হয়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন