ডার্ক মোড
Tuesday, 12 August 2025
ePaper   
Logo
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

 
 
 
চট্টগ্রাম ব্যুরো
 
"আদিবাসী স্বীকৃতি দাবির অন্তরালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (৯ আগষ্ট) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে।  পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থী আহ্বায়ক ও মানববন্ধনের প্রধান সমন্বয়ক  গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কাউছার উল্লাহ। আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা তারেকুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক। 
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মানববন্ধনে তিনি বলেন, সংবিধান স্বীকৃত “খণ্ডিত জাতি” তত্ত্বকে পাশ কাটিয়ে, ‘আদিবাসী’ শব্দের নামে বিদেশি শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মহল দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে এক শ্রেণির এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংগঠন পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস বিকৃত করছে এবং বিভাজনমূলক রাজনীতি ছড়াচ্ছে। বিশেষ অতিথি  কাউছার উল্লাহ  বক্তব্যে বলেন, আদিবাসী আর উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমার্থক শব্দ নয়।
আসুন আদিবাসী দাবির অন্তরালে পার্বত্য চট্টগ্রাম কে আলাদা করার ষড়যন্ত্র রুখে দিই! সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, একটি বিশেষ গোষ্ঠী সচেতনভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতিদের আদিবাসী বলে আখ্যায়িত করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের সংবিধান কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম কে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে । এটি নিছক কোন শব্দের অপপ্রয়োগ নয়, বরং সুপরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃস্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসন আদায়ের ষড়যন্ত্রের  অংশ। এটি রাস্ট্র বিরোধী এজেন্ডার সূক্ষ্ম অংশ বলেই মনে করেন। তিনি আরো বলেন জাতিসংঘের ILO কনভেনশন অনুযায়ী আদিবাসী হতে হলে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা অনুযায়ী বংশপরম্পরায় ঐ অঞ্চলে বসবাস করে আসতে হবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা মাত্র কয়েকশ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে শরণার্থী হিসেবে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। তাই তারা বাংলাদেশের আদিবাসী নয় বরং উপজাতি বা ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্টি। অন্যদিকে এই দেশের বাঙ্গালি জাতির বসবাস কয়েক হাজার পূর্ব থেকে। সুতারাং এই দেশের আদিমতম বাসিন্দা হল এই দেশের মূলস্রোতধারা বাঙ্গালি ও তাদের পূর্বপুরুষরা।  তারেকুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন,  পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিয়ারিং ইন্সটিটিউট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য অঞ্চলের অবাঙালিরা কোটা সুবিধা গ্রহণ করছে,চাকরির ক্ষেত্রেও সে সুবিধা নিচ্ছে অথচ একই জমিনে, একই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে আমাদের অবাঙালি বন্ধুরা সে সুবিধা পেলেও আমরা বাঙালিরা সে সুবিধা পাচ্ছিনা, আমরা পার্বত্য অঞ্চলে চতুর্থ শ্রেনির নাগরিকে পরিণত করেছে রাষ্ট্র। আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার চাই। 
 ওমর ফারুক বক্তব্যে বলেন,  পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের নাগরিক। সংবিধান, আইন ও জাতীয় ঐক্যের বাইরে গিয়ে কোনো বিশেষ মর্যাদা দাবি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। বক্তারা দেশপ্রেমিক সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন