ডার্ক মোড
Friday, 18 July 2025
ePaper   
Logo
জাতির মনে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাগ্রত রাখতে সুন্দরগঞ্জে ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনী

জাতির মনে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাগ্রত রাখতে সুন্দরগঞ্জে ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনী

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
জুলাই মাসের শহিদদের স্মরণে এবং ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাতির মাঝে জাগ্রত রাখতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্মৃতিচারণমূলক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
 
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ১২টি স্থানে একযোগে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রশিবিরের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখা এ আয়োজন করে।
 
প্রদর্শনীতে শহিদদের ছবি, আলোকচিত্র, তথ্যচিত্র, ব্যানার এবং ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস, শহিদদের আত্মত্যাগ ও আদর্শ তুলে ধরা হয়। এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে এবং তরুণদের মাঝে বিষয়টি গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।
 
প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের একতা বাজার ও বেলকা বাজার, রামজীবন ইউনিয়নের বালারছিড়া বাজার ও ডোমেরহাট বাজার, সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা বাজার, দহবন্দ ইউনিয়নের ধুমাইটারী চান্দের মোড়, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার ও নতুন বাজার, তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন্য বাজার ও ইমামগঞ্জ পাকার মাথা বাজার, সর্বানন্দ ইউনিয়নের নয়ারহাট এবং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা বাজারে।
 
প্রদর্শনী দেখতে আসা ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমি অনেক আন্দোলন দেখেছি, অনেক সময়ের সাক্ষী। কিন্তু এমন করে ইতিহাসকে চোখের সামনে তুলে ধরতে দেখিনি। সবার জন্য এটি খুবই দরকারি উদ্যোগ। ছাত্রশিবির ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।’
 
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সোহান ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান ছিল একটি ঐতিহাসিক বাঁকবদলের প্রতীক। আমরা চাই শহিদদের ত্যাগ ও আদর্শ নতুন প্রজন্ম জানুক, বুঝুক এবং তা থেকে শিক্ষা নিক। তাই এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা ইতিহাসকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজন শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং একটি আদর্শ প্রজন্ম গঠনের প্রয়াস—যারা সত্য, ন্যায় ও সাহসের পথে অটল থাকবে।’
 
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। জুলাইয়ের স্মৃতি ধারণ, শহিদ ও নিখোঁজদের গণহত্যার বিচার নিশ্চিতকরণ এবং জাতীয় ঐক্য সুসংহত করতে সততা ও দক্ষতায় প্রজন্ম গড়ার প্রতিজ্ঞায় এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনীসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন