
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় নারী-শিশুসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী ও তিন শিশু রয়েছে।
এর মধ্যে তিতাস উপজেলায় তিনজন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় তিনজন এবং বুড়িচং উপজেলায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
তিতাস থানার ওসি মো. শহিদ উল্লাহ জানান, সোমবার সকালে তুলাকান্দি গ্রামে দুই বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনু মিয়া নামের বাক প্রতিবন্ধী। বিষক্রিয়ায় দুই মেয়ের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- ১০ বছর বয়সি মনিরা এবং ছয় বছরের ফাতিহা।
বেলা ১১টায় উপজেলার মাছিমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ‘ঋণের বোঝা সইতে না পেরে’ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুর্শিদ মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে গেছেন।
তিতাস থানার এসআই কমল কৃষ্ণ সাহা বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মুর্শিদ। এ ছাড়া এলাকার লোকজনও তার কাছে টাকা পেত।
অন্তরা আক্তার ওই এলাকার সিরাজ ডাক্তারের বাড়ির ভ্যানচালক কামাল হোসেনের মেয়ে। তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে টুটুল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে হোসাইন নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শঙ্খজিৎ সমাজপতি জানান, হোসাইন ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে বুড়িচংয়ে রেল লাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
দুপুরে উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের বাকশিমুল পূর্বপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে বুড়িচং থানার এসআই মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, যুবকের বয়স ৩০ হতে পারে। ধারণা করা যাচ্ছে, অন্তত এক সপ্তাহ আগে তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরের অনেক অংশই পচেগলে গেছে।