ডার্ক মোড
Thursday, 03 July 2025
ePaper   
Logo
কাঠালিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে মারধর

কাঠালিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে মারধর

কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৫নং শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. মাহমুদ হোসেন রিপনকে মারধর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকেও মারধর করা হয়। পরে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কচুয়ার বটতলা পর্যন্ত নিয়ে যায় বিএনপির বিক্ষিপ্ত নেতাকর্মীরা। পরে স্থানীয়রা আহত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে, সেখান থেকে তারা আত্মগোপনে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সহকারি সচিব খায়রুল ইসলাম মাননানের ছোট ভাই। তিনি শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিন বারের চেয়ারম্যান ও একাধিক বার জেলা ও বিভাগের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কিছুদিন আত্নগোপনে ছিলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। এদিকে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখিয়ে অন্য ৫ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় ওইসব ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক। সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার প্রধান আসামী হন। মামলার ৫নং আসামী ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। পরে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন তারা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি (বহিষ্কৃত) মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এই হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি (বহিষ্কৃত) ও ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল আলমের সাথে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে শামসুল আলম বিএনপি প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান রিপনকে দায়িত্ব থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে আসছিলেন। তাই রিপন চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ হতে বিতাড়িত করার জন্য এই হামলা চালানো হয়। আহত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য মো. সামসুল আলম বলেন, রিপন চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে তাকে বঞ্চিত করেছে। শুনেছি তার ওপর হামলা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.জালালুর রহমান আকন জানান, এ হামলার ব্যাপারে বিএনপি জড়িত নয়। এটা ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের পুর্বের দ্বন্ধের জের। সামসুল আলম তাদের দলের কেউ না।

থানার অফিসার ইনচার্জ মং চেনলা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পুর্ন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন