হাউজিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিজির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমানে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাবিনা আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২১ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকীর দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, আসামি গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমানে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আশরাফুল আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৩ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনে আসামির দাখিল করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি মো. আশরাফুল আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে স্থাবর ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা এবং অস্থাবর ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৩ টাকাসহ মোট ৫৫ লাখ ৮ হাজার ৬৭২ টাকা মূল্যের সম্পদ ঘোষণা করেন।
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে স্থাবর ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯ টাকা এবং অস্থাবর ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫৬ টাকাসহ মোট ৮৩ লাখ ৭৩৫ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৬০ টাকা মূল্যের অর্জিত সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিবরণী দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অন্যদিকে প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাবিনা আলমের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামি সাবিনা আলম ও তার স্বামী আশরাফুল আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেছেন।
আসামি আশরাফুল আলম গণপূর্ত অধিদফতরে প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করার সুবাদে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থের দ্বারা ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তিন কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।