ডার্ক মোড
Tuesday, 23 April 2024
ePaper   
Logo
হরিজনদের রেষ্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে খেতে না দেওয়া মানবাধিকারের চরম লংঘন

হরিজনদের রেষ্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে খেতে না দেওয়া মানবাধিকারের চরম লংঘন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষজনকে রেষ্টুরেন্টের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না। রেষ্টুরেন্টের ভিতর খেতে দেওয়া হয় না।

কাগজে খাবার নিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে খেতে হয় তাদের। রেষ্টুরেন্টের পাশেসেও পানি দেওয়া হয় না তাদের। এতে মানবাধিকারের চরম লংঘন হচ্ছে।

হরিজনদের প্রতি এমন বৈষম্যের চিত্র নজরে এসেছে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। বিস্তারিত লালমনিরহাট প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফার এর রিপোর্টে-
প্যাকেজ হরিজনদের প্রতি বৈষম্যের ঘটনায় একটি তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় বিভাগে মৌলিক অধিকার অংশে ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের আলোকে তিনি এই নের্দশ দেন। আগামী ২২ জানুয়ারীর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সংবিধানে বলা আছে কেবল ধর্ম, গোষ্ঠি, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারনে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শণ করিবেন না।

কিন্তু হরিজনরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তারা মুলধারার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জীবনমানের উন্নতি করতে চাইলেও বৈষম্যের কারনে তা করতে পারছেন না। এ কারনে তারা সর্বদা পিছিয়ে থাকছেন।

হরিজন স¤প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা এখন উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছেন। তারা বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন। আগের তুলনায় তাদের পরিবেশ অনুগুণে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বৈষম্যের কারনে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। তারা সমাজের সকল মানুষের মতো জীবনধারন করতে চান। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সাথে নিজেদের এগিয়ে নিতে চান।

ভক্সপপ: ০১-০৬ ( হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ) বৈষম্য দূরিভূত করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনা পেয়ে তারা খুশি।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনও আস্তরিকভাবে কাজ শুরু করেছে। হরিজনদের প্রতি বৈষম্য দূর করে তাদেরকে মুলধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন