ডার্ক মোড
Saturday, 20 April 2024
ePaper   
Logo
সৎ কাজ-খারাপ কাজ

সৎ কাজ-খারাপ কাজ

ছৈয়দ আন্ওয়ার

সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ একজন মানুষের অত্যাবশ্যকীয় করণীয় কাজ। এ সময়ে এটা বড় এক ফ্যাক্টর হিসেবে আমাদের সামনে এসেছে। প্রশ্ন আসবে সৎ এবং মন্দ কাজের আদেশ নিষেধের সাথে এ সময়ের কি তুলনা হয়? অথবা আমরা মাগফেরাত চাইবো আল্লাহ্্র কাছে। মাফতো পেয়েই যাবো। পরস্পর বিপরীতমুখী দুটো কাজের মধ্যে মানুষের জন্য এ দুটো কাজ কেনো আজ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ালো? জবাব আসবে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। বন্য জীব-জানোয়ারের মতো একশ্রেণীর মানুষের আচার-আচরণ দেখে সচেতনরা এভাবে তাদের মূল্যায়ন করে চলেছেন।

তাদের মতে, মানুষ যখন সৎ পথ থেকে বিচ্যুৎ হয়ে পড়ে তখনই তারা মানবিকতার মহান শিক্ষা হারিয়ে ফেলে। আর এ পথে শুরু হয় পাপের শক্তির খেলা। এ পাপ কখনো কোনো দিন মরে না। সেরা মানুষেরা এটাকে এভাবে বলেছেন যে, শক্তির যেমন কোনো বিনাশ নেই। এটা এক রূপ থেকে আরেক রূপে যায়। তেমনি পাপের কোনো বিনাশ নেই, এটাও শক্তির সূত্র মোতাবেক এতো বেশি বিস্তৃতি লাভ করেছে_ যার ভয়াল রূপ আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি। এ থেকে মুক্তির পথ হলো সৎপথে জীবনযাপন করা।

মহান প্রভু একজন মানুষকে সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালার মাধ্যমে চলার ওপর জোর দিয়েছেন। যা পালন করলে তারা গড়ে উঠবে সত্যিকারের মানুষরূপে। কিন্তু স্রষ্টার নির্দেশিত এ পথ থেকে আমরা দূরে সরে গেছি বহুকাল আগে। সমাজের সর্বক্ষেত্রে ভয়ানক নৈরাজ্য শিকড় গেড়ে বসেছে। মানুষের মধ্যে থেকে হারিয়েছে মানবিক মূল্যবোধ।

যে কারণে আজ খুনের মতো নির্মম নিষ্ঠুর কাজ এখন ডালভাতের মতো সংঘটিত হচ্ছে। মূলত এরকম সমাজ ব্যবস্থা ছিল আদিম বর্বর যুগে। সভ্য মানুষই সামাজিক শান্তি স্থাপন করতে পারে। তাইতো প্রথমে একজন মানুষকে সৎ বা উত্তম কর্মের চর্চার মাধ্যমে শুভ বা সদিচ্ছার সমাজ গড়ার জন্য অত্যাবশকীয় কাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর ফার্স্ট প্রায়োরিটির মাধ্যমে তা করার জন্য গুরুত্বারোপ করে দেশ গড়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আসলে এমন পন্থা কোনো সমাজে না থাকলেই সেখানে মানুষের মধ্যে পশুবৃত্তির বিস্তার ঘটে থাকে যা আজকের বাংলাদেশে হরহামেশা ঘটে চলছে। সময়ের দাবি হলো, সৎকর্মকে হ্যাঁ আর অসৎকর্মকে না বলুন।

পাদটাকা : সৎকর্ম মানে শুভ কল্যাণের ধারায় সবাইকে এক কাতারে সমবেত হওয়া। এর অন্যথা হওয়া মানে অসৎ বা অন্ধকার জগতের লোকদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়া যা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য মহান স্রষ্টা আমাদের মহান কাজ করাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। এ পথ জাতিকে সঙ্কট থেকে রক্ষা করবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন