ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এজন্য গবেষক, শিক্ষক, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বৃহষ্পতিবার (৩১ অক্টোবর ২০২৪) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে “ডিজাস্টার হ্যাকাথন ২.০”-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ, আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক সংস্থা স্টার্ট নেটওয়ার্ক-এর অংশ ফোরওয়ার্ণ বাংলাদেশ এবং ওপেন ম্যাপিং হাব-এশিয়া প্যাসিফিক যৌথভাবে এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।

স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাজিদ রায়হানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং এন্ড জিআইএস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ, স্টার্ট নেটওয়ার্ক-এর সিইও ক্রিস্টিনা বেনেট এবং ওপেন ম্যাপিং হাব-এশিয়া প্যাসিফিক-এর আঞ্চলিক পরিচালক নামা বুধাঠকি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা তহবিল গঠন এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের বেশকিছু অর্জন রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মেধা বিকাশে নিয়মিতভাবে “ডিজাস্টার হ্যাকাথন” আয়োজনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৮৪টি দল অংশ নেয়। এতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের ‘টিম সিডর’ প্রথম স্থান অর্জন করে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ‘টিম সোন্ডারার্স’ দ্বিতীয় ও ‘টিম রিলিফ টেক স্কোয়ার্ড’ তৃতীয় স্থান অর্জন করে।