ডার্ক মোড
Thursday, 13 March 2025
ePaper   
Logo
শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ সকল পাওনা ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া মার্চ মাসের বেতনের কমপক্ষে ১৫ দিনের বেতন মালিকপক্ষ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী দেবেন।

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর পূর্ববর্তী শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন বোনাস ও ছুটি সংক্রান্ত পর্যালোচনার জন্য ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এর ৮৫তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনে আয়োজিত সভায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ থেকে ৭টি বিষয়ে যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এর পূর্বে কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত/ছাঁটাই করা যাবে না।

২। কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা আলোচনা করে শ্রম আইন অনুযায়ী দ্রুত ঈদ-উল-ফিতর এর ছুটি কখন থেকে শুরু হবে তা নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী কারখানার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।

৩। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ সকল পাওনা ২০ রমজানের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতনের কমপক্ষে ১৫ দিনের বেতন মালিকপক্ষ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী দেবে।

৪। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএসহ মালিক পক্ষের ক্যাশ ইনসেনটিভ বাবদ সরকারের কাছে পাওনা পরিশোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হবে।

৫। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শ্রমিকদের পাওনাদি দি পরিশোধ, ছুটি সংক্রান্ত বিষয়সহ সার্বিক পরিস্থিতির উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় সজাগ দৃষ্টি রাখবে।

৬। সার্বিক পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গঠিত কমিটির পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) এর নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। কমিটিতে শ্রমিক-মালিক পক্ষের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/সংস্থার প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

৭। বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমঘন এলাকায় ২৮-০৩-২০২৫ থেকে ২৯-০৩-২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো খোলা রাখতে হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এর সদস্য হিসেবে শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন