ডার্ক মোড
Sunday, 20 July 2025
ePaper   
Logo
মিরসরাইয়ে চাঞ্চল্যকর ফয়েজ হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ৫ আসামী গ্রেফতার

মিরসরাইয়ে চাঞ্চল্যকর ফয়েজ হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ৫ আসামী গ্রেফতার

 
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
 
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চাঞ্চল্যকর ফয়েজ হত্যা মামলায় স্ত্রী ফিরোজা বেগমসহ পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। 
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকাল ৪ টায় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ এক  প্রেসব্রিফিংয়ে জানায় গত ২৬ জুন শেষ রাতে জোরারগঞ্জ থানাধীন করেরহাট ইউনিয়ন বদ্ধ ঘেরামারা এলাকার ফয়েজ আহমেদ (৮৫) কে বসতগৃহে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মুখে ঘুসি মেরে অজ্ঞাতনামা আসামীরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। 
 পরবর্তীতে ডিসিষ্ট ফয়েজ আহমেদ (৮৫) এর ছেলে আলমগীরের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ জুন জোরারগঞ্জ থানার মামলা নং-১৬ রুজু হয়। 
মামলার তদন্তকালে ডিসিষ্ট ফয়েজ আহমেদ (৮৫) এর স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তার বড় বোন শ্যমলা বেগম (৬০) কে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত আসামী আকতার(৩২) কে  ১৯ জুন রাতে সীতাকুন্ড থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
 
আসামী আকতার এর তথ্যমতে পরিবর্তীতে ঘটনায় জড়িত অপর আসামী ইয়াছিন রুবেল (২৫) ও শাকিব (২৩) দ্বয়কে সীতাকুণ্ড থানা এলাকা হতে রাতেই অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।
 
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডিসিষ্ট ফয়েজ আহম্মদ এর বসত বাড়ীতে আকতার দিন মুজুরের কাজ করার সুযোগে তার স্ত্রীর ফিরোজা বেগমের বিশ্বাস অর্জন করে। ডিসিষ্ট ফয়েজ আহমেদ কৃপন প্রকৃতির হওয়ায় তার স্ত্রীকে চিকিৎসার টাকা ও পারিবারিক খরচ সঠিকভাবে দিত না, তখন ডিসিষ্ট এর স্ত্রীর পারিবারিক অভাব অভিযোগের কারণে ডিসিষ্ট ফয়েজ আহম্মদের ঘরে ড্রয়ারে থাকা ৩০,০০০/- চুরি করার জন্য তার বোনসহ আসামী আকতারের সাথে পরিকল্পনা করে।
 
ঘটনার দিন পরিকল্পনামতে ডিসিষ্ট ফয়েজ আহমদকে ভয় দেখানো ও তার হাত পা বাঁধার জন্য আকতার বিকালে বারইয়ারহাট বাজারে রশি ক্রয় করে এবং তার অপর সহযোগী ইয়াছিন  রুবেল ও সাকিবকে ডেকে নেয়।
 
রাত আটটার পর ডিসিষ্ট এর স্ত্রী আকতারকে জানায় যে রাতে সে ধাত্রী কাজে পাশে একটি বাড়ী যাবে এবং যাওয়ার সময় দরজা খুলে রাখবে। যথারীতি রাত ১২ টার পর ডিসিষ্ট এর স্ত্রী ধাত্রী কাজে চলে গেলে আকতার পরিকল্পনা মতে তার সহযোগী ইয়াছিন রুবেল ও সাকিব নিয়ে ডিসিষ্ট এর বাড়ীতে প্রবেশ করে ডিসিষ্টকে খাটের উপরে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত পা বেঁধে ফেলে।
 
এক পর্যায়ে ডিসিষ্ট জেগে উঠে চিৎকার করলে তার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়  এবং ডিসিষ্ট কে মুখে ঘুষি মেরে নাক মুখ চেপে ধরে শাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
 
পরিকল্পনা মতে আকতার ও তার সহযোগী ইয়াছিন রুবেল ও সাকিব ড্রয়ারে থাকা ৩০,০০০/- নিয়ে যায়।  আকতার ১৪,০০০/- এবং রুবেল ও তার সহযোগী সাকিব ১৬,০০০/- ভাগ করে নেয়। ডিসিষ্ট এর স্ত্রী সকালে এসে দেখে যে আকতার টাকা নিয়ে গেছে তবে তার স্বামীকে মেরে চলে গেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মিরসরাই সহকারী পুলিশ সার্কেল নোমান আহম্মেদ, জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম,  ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম। 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন