ডার্ক মোড
Thursday, 25 April 2024
ePaper   
Logo
বেসরকারি খাতকে নতুন পণ্য আনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

বেসরকারি খাতকে নতুন পণ্য আনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের সঙ্গে কোলাবোরেশন করে দেশের বেসরকারি খাতকে নতুন নতুন পণ্য আনার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (১২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘লিভারেজিং গ্রোয়িং মিডল অ্যান্ড এফুলেন্ট ক্লাস ফর অ্যা ভাইব্রেন্ট কনজুমার গুডস সেক্টর’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) অলরেডি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। ডিসিপ্লিনে এসেছে ই-কমার্স খাতে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কাজ করছে দেশ। এ বিনিয়োগে আমাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এফবিসিসিআই।

এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যের সনদ নিতে গেলে ১৭টা কর্তৃপক্ষের পারমিশন বা সনদ নেওয়া লাগে। যা অনেক কষ্টকর, আর এটা আমিও মনে করি। কিন্তু খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হওয়ায় এখানে অনেক বেশি সতর্ক থাকা লাগে।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের দেশে ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিকসের একটা শিল্প গড়ে উঠেছে। যাদের একটা উচ্চমাত্রার ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। ২৬ সালের পরে এই ডিউটি কমিয়ে দিয়ে ডব্লিউটিওর আইন অনুযায়ী করতে হবে। তা না হলে ডব্লিউটিও আমাদের নামে মামলা করবে। আমরা যেসব দেশে আরএমজি পণ্য রপ্তানি করি, তারা যেন-তেন পণ্য নেয় না।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও জাবেদ আখতার বলেন, আমরা শুধু আরবানে ফোকাস করে আছি। কিন্তু ৬০ শতাংশ মানুষ রুরালে আছে সেটা আমরা ফোকাস করি না।

এমসিসিআই সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমন পণ্য তৈরি করতে হবে যেন অন্যান্য দেশ এসব পণ্য খোঁজে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির চেয়ারম্যান নকিব খান বলেন, ফুড সাপ্লাই চেইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ফার্মাররা তাদের ন্যায্য দাম পায় না। মেগা প্রকল্প সামনে তৈরি হচ্ছে, ফুড সেফটি অনেক জরুরি। এই এরিয়াটাতে আমাদের অনেক ফোকাস করতে হবে।

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি নাসিম মনজুর বলেন, আমরা চামড়া খাতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, অনেক কোলাবোরেশন করছি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেট করেছি। আরএমজি খাত যেভাবে এগিয়েছে যদি তা না হতো আমরা এখানে হতে পারতাম না। গবেষণাতে কোনো ট্যাক্স ইনসেন্টিভ নাই, তাই এটাই উপযুক্ত সময় আরো বেশি গবেষণার মাধ্যমে আমরা খাতগুলোকে এগিয়ে নিতে পারি।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের এমডি রূপালী চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেদায়েত অনুর উযদেন, ম্যারিকো বাংলাদেশের এমডি রজত দিবাকর, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও এম এইচ এম ফাইরুজ প্রমুখ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন