ডার্ক মোড
Saturday, 22 February 2025
ePaper   
Logo
পটুয়াখালীতে নিষিদ্ধ জালে ধ্বংস করছে মাছের পোনা

পটুয়াখালীতে নিষিদ্ধ জালে ধ্বংস করছে মাছের পোনা

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশের পোনা নির্বিচারে মারা পড়ছে। কিন্তু অসাধু জেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করছে। অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতের মাছের পোনা নিধন ও হাট বাজারে এমন কি পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। পাড়া মহল্লায় এমন কি হাট বাজারে এ পোনাগুলো চাপিলা মাছ বলে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে তারা। এভাবে ইলিশের পোনা নিধন হতে থাকলে আগামী মেসৈুমে নদীতে ইলিশ মাছের চরম সঙ্কট দেখা দিবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর এলাকাজুড়ে বাধা ও বেহুন্দী নামে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলেরা মাছের পোনা শিকার করছে। এসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি। এমন ফাঁসের জাল দিয়ে জেরেরা অবাধে ইলিশ, পোয়া ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতের পোনা মাছ ধরছে। যা হাট বাজার এমন কি পাড়া মহল্লায় গাড়িতে গাড়িতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাম না করা সত্যে বাঁশবাড়িয়ার ও কাটাখালী গ্রামের একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, জাটকা বিক্রি ও ধরা নিশিদ্ধ থাকলেও মৎস্য বিভাগের নজরদারী বা অভিযান না থাকায় এবং মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে ইলিশের পোনাসহ নানা জাতের মাছের পোনা নিধন ও বাজার জাত করছে।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে নিয়েও তারা বিক্রি করছে জাটকা নামের পরিচিত ইলিশের এই পোনা। যদিও বিক্রি করার সময় জেলেরা এই পোনাকে চাপিলা নামে বিক্রি করছে। এই জাটকা পরবর্তীতে শুঁটকি বানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কি পরিমান পোনা মাছ নিধন হচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনার করা কঠিন। প্রশাসন যদি ভালো করে নজরদারি না করে তাহলে আগামীতে ইলিশ মাছ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট বাজারের মাছের আৎড়দার মো. মিরাজ খান বলেন, অসাধু কিছু জেলে তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে চাপিলা নামে পরিচিত ইলিশের পোনা নিধন করছে। নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে তারা কর্তব্য শেষ করছে মৎস্য বিভাগ। যে কারনে প্রজননকালীন ইলিশ রক্ষায় সরকারের নেয়া উদ্যোগ ভেস্তে যেতে চলছে।

বাজারে প্রকাশ্যে ইলিশের পোনা বিক্রির বিষয়ে দশমিনা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, এ উপজেলায় কিছু অসাধু জেলে রয়েছে যারা অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছগুলো ধ্বংস করছে। নদীতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। আর গত কয়েক দিনে অবৈধ ১৪টি বেহেন্দী জাল পুড়িয়ে বিন্ষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন