ডার্ক মোড
Friday, 26 April 2024
ePaper   
Logo
নেতানিয়াহুর অধীনে গভীর সম্পর্ক গড়বে রাশিয়া-ইসরায়েল

নেতানিয়াহুর অধীনে গভীর সম্পর্ক গড়বে রাশিয়া-ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আলোচিত হয়েছে বেনজামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের নতুন সরকার। এখন আরেকটি বিষয় আলোচিত হচ্ছে— নেতানিয়াহুর সরকার রাশিয়ার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক গড়বে?

নেতানিয়াহু পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগের সরকার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ আবার ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তাদের একটি নীতি ছিল, ইউক্রেনকে যতটা সম্ভব সহায়তা করা। আগের সরকারের নীতি থেকে সরে আসার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত খুব বড় কোনো ইঙ্গিত দেয়নি নতুন সরকার।

ইসরায়েলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন তার প্রথম বক্তব্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বলেছেন, নতুন সরকার এ নিয়ে ‘কম কথা বলবে।’ মানে প্রকাশ্যে কারও পক্ষে অবস্থান নেবে না ইসরায়েল এমনটি বুঝিয়েছেন তিনি।

এছাড়া এলি কোহেন দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যভরভের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কথা বলেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে। এ বিষয়টি নিয়ে মনক্ষুন্ন হয়েছে ইউক্রেন। ইসরায়েলে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আগে ল্যভরভের সঙ্গে কথা বলার অর্থ হলো— নেতানিয়াহুর অধীনস্ত সরকার ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান পরিবর্তন করছে।

ইসরায়েলের বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান জোনাথন রায়ানহোল্ড কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি ইসরায়েলের আগের সরকারের আদর্শগত সমবেদনা ছিল। কিন্তু নতুন সরকারের এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। নতুন সরকার নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখে রাশিয়ার প্রতি ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেছেন, সাধারণভাবে ইসরায়েল এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে। আবার রাশিয়ার সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে। কারণ মধ্যেপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালাতে, সিরিয়ায় রকেট হামলা চালাতে তাদের রাশিয়ার অনুমতি প্রয়োজন। তারা চায় না সিরিয়ায় অবস্থানরত রুশ সেনাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সেনাদের সরাসরি সংঘর্ষ বাধুক। আগের এবং বর্তমান সরকার রাশিয়ার সঙ্গে একটি ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক রাখারই চেষ্টা করেছে।

ভারসাম্য সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন

ইসরায়েল ভারসাম্য সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করলেও এটি কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউক্রনকে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত সরাসরি অস্ত্র সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা শুরুর দিকে ইউক্রেনে ফিল্ড হাসপাতাল, হেলমেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।

কিন্তু চাপে পড়ে এখন এ অবস্থান থেকে তাদের সরে আসতে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার ব্যবহৃত ইরানের ড্রোন প্রতিরোধে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে ইসরায়েল। এছাড়া ইউক্রেনে অস্ত্র পরিবহণেও নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে তারা।

সূত্র: আল জাজিরা

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন