ডার্ক মোড
Saturday, 21 December 2024
ePaper   
Logo

নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন আরও ৫০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার

 

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২২মার্চ ২০২৩,বুধবার সারাদেশে এক যুগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চতুর্থ পর্যায়ের নির্ধারিত গৃহ সমূহের উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় সকাল ৯টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের সাথে সংযুক্ত থেকে এক আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে পূনর্বাসিতব্য ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০জন উপকারভোগীদের আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র প্রদান, ঘরের চাবি হস্তান্তর ও জমির পর্চা প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের জনগণকে, একটি অভাবগ্রস্ত দেশের মানুষকে,একটি খাদ্য-ঘাটতিতে পতিত রাষ্ট্রকে ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে যাচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনা। সেজন্য সবাইকে সামনের দিকে লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া সোনাইছড়ির রেজু হেডম্যানপাড়ার সিরাজ মিয়া বলেন তিনি খুবই কষ্ট করে দিনাতিপাত করেছেন। এইভাবে ঘর পাওয়া তিনি কখনো কল্পনা করেন নি। সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এইভাবে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখা যায় তাঁরা ঘর পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে কী বলবে ভাষা খুঁজে পায় নাই।

আরও জানা যায়,উপজেলায় সর্বশেষ মাঠ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬৮৭টি। প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে পূনর্বাসন করা হয়েছে ২০৯ টি পরিবারকে এবং চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় কিস্তিতে ইতোমধ্যে ৫০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। এতে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ২৫ টি এবং সেমি পাকা ৩৫টি ঘর রয়েছে।

চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় কিস্তিতে পাওয়া আরও ষাটটি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম কিস্তিসহ মোট ২৫৯টি ঘরের মধ্যে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ৫৭টি,ঘুমধুম ইউনিয়নে ৭৮টি বাইশারী ইউনিয়নে ২৯টি এবং সদর ইউনিয়নে ৩৩টি করে ঘর প্রদান করা হয়। চলমান ষাটটি ঘরের মধ্যে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে সাতটি মাচাং ঘর ও পাঁচটি একক বৃহৎ সেমি পাকাসহ মোট ১২টি,সদর ইউনিয়নে ১১টি একক বৃহৎ সেমিপাকা,দোছড়ি ইউনিয়নে ১২টি মাচাং ও তিনটি একক সেমি পাকাসহ মোট ১৫টি, বাইশারী ইউনিয়নে ছয়টি মাচাং ও পাঁচটি একক সেমি থাকাসহ মোট ১১টি এবং ঘুমধুম ইউনিয়ন ১১টি একক সেমি পাকা ঘরসহ সর্বমোট ৬০পরিবারকে ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ক্যানোয়ান চাক,পাঁচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারবৃন্দ,সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন