ডার্ক মোড
Friday, 29 March 2024
ePaper   
Logo
দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার পরিদর্শনে এলজিইডি’র টিম, হচ্ছে ৬ তলা ভবন

দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার পরিদর্শনে এলজিইডি’র টিম, হচ্ছে ৬ তলা ভবন

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে ৬ তলাবিশিষ্ট ভবন। এতে থাকবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান। বর্তমান মাছ ও সবজি বাজার ভেঙে ভবনটি গড়ে তোলা হবে। ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে লাগবে ১১ মাস। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জায়গাটি শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পরিদর্শন করেছেন এলজিইডি’র যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা) এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর, ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (ডিপিডি) মামুন হোসেন ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাখন চন্দ্র সূত্রধর।

জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত ‘নাজিরবাজারে’ হাট বসে সপ্তাহে দু’দিন- শুক্র ও সোমবার। এ দুই দিন জেলার দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর- এই তিন উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ বাজার-সদাই করেন বাজারটিতে। বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গড়ে উঠা মাছ ও সবজি বাজারে বর্ষা মৌসুমে কেনাকাটা করতে গিয়ে মানুষকে পোহাতে হয় অনেক ভোগান্তি।

সামান্য বৃষ্টি হলেই সবজি ও মাছ বাজারের প্রতিটি গলিতে থাকে কাদাপানিতে থৈ থৈ অবস্থা। টিনশেড ছাউনি ঘরের চালা দিয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। এতে ব্যবসায়ীরাদের হয় কষ্ট। এছাড়াও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় হাটবারে মাছ ও সবজিবিক্রেতারা বসে পড়েন মূল বাজারের রাস্তাগুলোতে।

ফলে যান ও পথচারী চলাচলে বিঘœ ঘটে। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহিত হোসেনসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় এবার অবসান হতে যাচ্ছে সেসব কষ্ট আর ভোগান্তির।

এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর জানান- ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নাজিরবাজারে ৬ হাজার স্কয়ার ফিটের ৬ তলা ভবন নির্মিত হবে। প্রথম ধাপে দুই তলা সম্পূর্ণ করা হবে। নিচতলায় কোনো দোকানকোঠা হবে না, সবজি ও মাছ বাজারের জন্য খোলা রাখা হবে।

দুতলায় হবে ১২টি দোকান। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এগুলো ভাড়া নেবেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্যও দোকান বরাদ্দ থাকবে। নারীদের জান্য থাকবে আলাদা শৌচাঘার।

তিনি আরও বলেন, এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এটি শেষে হবে ওয়ার্ক অর্ডার। এরপরই শুরু হবে কাজ। কাজ শুরু হতে দুই-আড়াই মাস সময় লেগে যেতে পারে। কাজের মেয়াদ ৯ থেকে ১১ মাস।

স্থানীয়রা জানান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর বৃহত্তর নাজিরবাজারবাসী বেশ উপকৃত হবেন। বাজারটিতে বেড়ে যাবে আশপাশ আরও অনেক গ্রামের বাসিন্দাদের আনাগোনা। আরও বিস্তৃতি ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হবেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন