
ট্রেনের জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বেলুচিস্তানে ট্রেনের জিম্মি যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেশ কিছু জঙ্গি রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
ওই সময় ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। হামলার সময় ট্রেনটি বেলুচিস্তানের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র।
এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী পাহাড়ি ওই অঞ্চলটিতে সবধরনের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় এবং ট্রেনটিকে ঘিরে ফেলে। জঙ্গিদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে বলে সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে জিও টিভি।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং নারী ও শিশুদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ট্রেনে যেহেতু বেসামরিক মানুষ আছেন তাই খুবই সতর্কতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া ওই অঞ্চলটি জড়িল পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সেখানে অভিযান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।
যেখানে ট্রেনটির যাত্রীদের জিম্মি করা হয়েছে সেখানে একটি টানেল রয়েছে এবং এটি আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
ট্রেনের যাত্রীদের জিম্মি করার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি নামের একটি সশস্ত্র জঙ্গী গোষ্ঠী। যারা গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চাইছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি জানিয়েছে, তারা ১৮২ জনকে জিম্মি করে রেখেছে।
সর্বশেষ বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি। তারা বলেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনায় বসতে হবে এবং তাদের যত রাজনৈতিক বন্দি আছে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।
তবে পাকিস্তান পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গীরা ৩৫ জনকে জিম্মি করেছে। আর ট্রেনের প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিরাপদ আছে। যার অর্থ জিম্মিদের সংখ্যা নিয়ে দুই পক্ষের কাছ থেকে দুই ধরনের তথ্য শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য এর আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, যারা অস্ত্রের মুখে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে। তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
সূত্র: জিও টিভি, রয়টার্স