ডার্ক মোড
Tuesday, 23 April 2024
ePaper   
Logo
জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে রেলের ডিজি নিয়োগ দিলো রেলপথ মন্ত্রণালয়

জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে রেলের ডিজি নিয়োগ দিলো রেলপথ মন্ত্রণালয়

বিশেষ প্রতিনিধি

নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়েতে মহাপরিচালক নিয়োগ করা করা হয় জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে। সেই জেষ্ঠ্যতার তালিকায় বিদায়ী ডিজির পরেই চলতি দায়িত্বে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (রোলিং স্টক) দায়িত্বে থাকা মো. মঞ্জুর- উল- আলম চৌধুরীর অবস্থান।

তিনি ১০ম বিসিএসে রেলওয়ের দুই ক্যাডারে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে পিএসসির মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী হওয়া সত্তেও তাকে ডিঙিয়ে তার জুনিয়র কর্মকর্তাকে রেলওয়ের মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।

সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রশাসনের সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড- এসএসবি সভায় মো. মঞ্জুর- উল আলমকে গ্রেড-৩ এর ফিডার পদে ১ বছর ৫ মাস ১৩ দিন চাকরি অভিজ্ঞতার শর্তে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রমার্জন সাপেক্ষে গ্রেড-২ এ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

আর তাতে ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেন। এর একদিন পরে ২৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। মো. মঞ্জুর উল আলমকে ওই বছর পদোন্নতি না দিলেও ২০২০ সাল থেকে দ্বিতীয় গ্রেডেই অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

কিন্তু তাকে বেতন ভাতার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় গ্রেডে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন দীর্ঘ ৩ বছর ধরে যে পদে তার সার্ভিস নেয়া হচ্ছে সে পদে তাকে গ্রেড দেয়া যাবেনা এটা কোনো নিয়ম হতে পারেনা। এদিকে যে কারন দেখিয়ে ২০২০ সালে তার পদোন্নতি স্থগিত ছিলো সেই ফিডার পোস্টে তিন বছর গত ২৯ এপ্রিল পূর্ন হয়েছে।

তাই তার আটকে থাকা পদোন্নতি পেতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছিলেন খোদ রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। কিন্তু সে অপেক্ষা না করেই রাতারাতি ডিজি নিয়োগ দেওয়া হয়।

এবার রেলওয়ের মহাপরিচালক হওয়ার তালিকায় মো. মঞ্জুর উল আলম ছাড়াও ১০ম বিসিএসের আরো দুই কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের একজন প্রকৌশল ক্যাডারের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা এডিজি (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বানিজ্যিক ক্যাডারের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা এডিজি (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।

এই দুই কর্মকর্তারই গ্রেড-২ কিন্তু জনাব মঞ্জুরের জুনিয়র। অন্যদিকে যন্ত্র কৌশল বিভাগের এডিজি (রোলিং স্টক) মঞ্জুর উল আলম চৌধুরীর গ্রেড-৩।এতে পিএসসির জ্যেষ্ঠতা লংঘিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার দ্বিতীয় গ্রেডের পদোন্নতি ঠেকাতে দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন মহলে একটি চক্র কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তা দুদকে পাঠিয়েছে।

যদিও সে অভিযোগের কোনো প্রমান পায়নি রেলওয়ে। গত দুই বছরে ওই কর্মকর্তার ফিডার পোস্টের চাকরির তিন বছরের যে বাধ্যবাধকতা ছিলো তা পূরন হওয়ার পরেও তার দ্বিতীয় গ্রেড আটকে রাখা হয়।

বিষয়টি নিয়েই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রী। সে সুপারিশ আমলে নেওয়ার আগেই রাতারাতি রেলওয়েতে জেষ্ঠ্যতা ভেঙে পিএসসির দশম ব্যাচের আরেক জুনিয়র কর্মকর্তা কামরুল আহসান (এডিজি অবকাঠামো) কে চলতি দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন