ডার্ক মোড
Thursday, 25 April 2024
ePaper   
Logo
ইংরেজি ও শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশ পিছিয়ে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা

ইংরেজি ও শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশ পিছিয়ে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইংরেজি ও শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি পিছিয়ে আছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রান্তিক জনপদের শিক্ষার্থীরা। উন্নত জীবনমান ও কর্মসংস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে এটি তাদের জন্য একটি বড় বাধা। ‘নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে যুক্তরাজ্যের দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটি পরিচালিত ওই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল প্রান্তিকতা বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে ইংরেজি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রভাবকে প্রত্যক্ষ করা।

একইসঙ্গে ইংরেজি ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে সুপারিশ তুলে ধরা। উক্ত গবেষণায় বাংলাদেশ, নেপাল, সেনেগাল ও সুদানের ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এবং তাদের শিক্ষক ও অবিভাবকেরা অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত গবেষণায় দেখা যায়, প্রান্তিক জনপদের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে, বিশেষ করে বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজির ব্যবহার খুবই সীমিত; অন্যদিকে, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি বেষম্যের শিকার।

সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ইংরেজি ও প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে ইংরেজি ও প্রযুক্তি অবশ্যই মৌলিক শিক্ষার অংশ হতে হবে। তবে প্রযুক্তির অপব্যবহার্ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবেদনে সব শিশুর জন্য ইংরেজি ও প্রযুক্তি শিক্ষা সমানাধিকার নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা-কর্মসূচিগুলোকে সস্তা, দেশীয় সংস্কৃতি বান্ধব, এবং স্থানীয়ভাবে ব্যবহার উপযোগি হতে হবে। এজন্য ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক, সরকার ও স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে এই গবেষণা কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুবিনা খান এবং বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড.খন্দকার আতিকুর রহমান।
গবেষকদ্বয় মনে করেন, গবেষণার সুপারিশ কার্যকর করা গেলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশের প্রান্তিক জনপদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন