ডার্ক মোড
Friday, 29 March 2024
ePaper   
Logo
আমেরিকায় বাংলাদেশের নির্বাচনী ঢেউ নৌকা ও ধানের শীষ প্রত্যাশি ৫ প্রবাসী

আমেরিকায় বাংলাদেশের নির্বাচনী ঢেউ নৌকা ও ধানের শীষ প্রত্যাশি ৫ প্রবাসী

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আমেরিকাতেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরব হয়েছেন। নিজ এলাকার দল ও নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঘনঘন এলাকায় যাতায়াদের পাশাপাশি ফেসটাইমে সাংগঠনিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হচ্ছেন।

বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ঘোষণা না করলেও সম্ভাব্য প্রার্র্থীরা বসে নেই। সভা-সমাবেশের পাশাপাশি এলাকার দু:স্থ মানুষদের জন্যে বিভিন্ন কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ তথা নৌকার প্রার্থী হতে আগ্রহীরা এলাকার মানুষের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদারকল্পে সাংগঠনিক নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছেন আরো বেশী যানবাহন, আরো বেশী সংগঠক।

নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পাড়ায় পাড়ায়, অলি-গলিতে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। দোয়া-মাহফিলে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলে ফেসটাইমে বক্তব্য রাখছেন। ভাচর্’য়ালে সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণের এইধারা শুরু হয়েছে করোনাকালে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে আমেরিকার লোকজনকে একেবারেই নিকটে পাচ্ছেন।

প্রাণ খুলে জানাতে পারছেন সমস্যা আর সম্ভাবনার কথা। প্রয়োজনে টাকা পাঠাতে কোন ফি না লাগায় অভাবে কিংবা অন্য কারণে বিশেষ জরুরীভাবেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা টাকা পাঠাচ্ছেন মুহূর্তের মধ্যে। আর এভাবেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়াস প্রার্থী অনেকেই রয়েছেন। কেউ সাংগঠনিকভাবে তৎপর, আবার কেউ সাংগঠনিক এবং এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডেও দিন-রাত ২৪ ঘন্টা যুক্ত থাকছেন।

করোনাকালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এসব সিরিয়াস প্রার্থীর প্রায় সকলেই কাড়ি কাড়ি টাকা পাঠিয়েছেন চরম সংকটে থাকা লোকজনের মধ্যে চাল-ডাল-তেল-নুন-আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রি বিতরণ কল্পে। গত রমজানেও এমন কর্মসূচিতে বিপুল অর্থ ব্যয়ের সংবাদ পাওয়া গেছে।

এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়া লোকজনের পাশেও রয়েছেন তারা অকৃপণ হস্তে। অর্থাৎ নির্বাচনকালিন চিরাচরিত প্রথা থেকে আমেরিকা প্রবাসীরাও দূরে নেই। কষ্টার্জিত অর্থ তারা দু’হাতে ব্যয় করছেন। আমেরিকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রিয় মাতৃভ’মির কল্যাণের অভিযাত্রা ত্বরান্বিত করতে বদ্ধপরিকর এসব প্রার্থীর কোন পিছুটান নেই। আর্থিক সমস্যাও নেই যে, তদ্বির বাণিজ্যে লিপ্ত হতে হবে।

মনোনয়ন পেলে দলের কাছেও ফান্ড নিতে হবে না। এমন সিরিয়াস প্রার্থীর অন্যতম হলেন নৌকা প্রতিকের জন্যে অধীর আগ্রহে থাকা আব্দুল কাদের মিয়া (সন্দীপ), মাহাবুবুর রহমান টুকু (বরগুণা) এবং মোর্শেদা জামান (সরিষাবাড়ি)। অপরদিকে ধানের শীষ প্রতিকের অপেক্ষায় থাকা (শেরপুরের নালিতাবাড়ি-নকলা) ইলিয়াস খান এবং মুন্সিগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ি আসনের জন্যে দিনাজ খান।

তারা সকলেই নিজ নিজ দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি কম্যুনিটির কল্যাণেও সক্রিয় এই প্রবাসে। আব্দুল কাদের মিয়া চট্টগ্রামের স›দ্বীপের সন্তান আব্দুল কাদের মিয়া স্কুল-কলেজে ছাত্রলীগের সংগঠক ছিলেন। নিউইয়র্কে বসতি শুরুর সময় থেকে এখনও আওয়ামী লীগের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পেশায় নির্মাণ ঠিকাদার। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী কাজটি সমাধান করায় নিউইয়র্ক সিটির প্রায় সর্বত্র তার কদর বেড়েছে। অর্থাৎ আর্থিক স্বাচ্ছন্দে তাকে বেগ পেতে হচ্ছে না।

দুই দশক আগে দৈনিক ৪০ ডলারের মজুরিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে প্রবাস জীবনের শুরু হলেও এখন তার অধীনে কয়েক ডজন মানুষ কাজ করছেন যাদের মজুরি সে তুলনায় অনেক বেশী। এভাবে কষ্টার্জিত আয়ের বড় একটি অংশ তিনি ব্যয় করছেন সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা সহ অসুস্থ রোগী ও দুঃস্থদের ঘর নির্মানে, বিবাহ বন্ধন ও শিক্ষার সহায়তায়। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের মধ্যে যাদের আর্থিক অবস্থা খুব ভাল নয় তাদের সন্তানের প্রতি রয়েছে তার বিশেষ এক মমত্ববোধ।

সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি আর্ত-পীড়িত স›দ্বীপবাসীর সাথে থাকার সুফল হিসেবে তাকে অতি সম্প্রতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সদস্য ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব আব্দুল কাদের মিয়া প্রবাস ও দেশের অসহায় ও সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে নিজ নামে "আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন" প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ফাউন্ডেশন সন্দ্বীপের প্রতিটি ইউনিয়নে আর্ত-মানবতার সেবাদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। একই সাথে কাদের মিয়া সন্দ্বীপের মানুষের কাছে আস্থা ও ভরসার প্রতিকেও পরিণত হয়েছেন। সন্দ্বীপের প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করার জন্য এবং একই সাথে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ইতিমধ্যে তিনি ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠনও করেছেন।

প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের গৃহ নির্মাণের জন্য, চিকিৎসার জন্য, ছেলে মেয়ের বিবাহের জন্য, বিদেশ যাত্রার জন্য, শিক্ষা সহ নানান প্রয়োজনে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এবং শিক্ষার বিস্তারে বিভিন্ন ইউনিয়নে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণ, অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ, শহীদ মিনার নির্মাণ, শ্রেণীকক্ষ বিদ্যুতায়ন সহ উন্নয়নমূলক কাজ করছেন গত এক দশক যাবত।

২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সন্দ্বীপ উপজেলায়ও এর প্রভাব পড়ে। করোনাকালীন সময়ে সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে ৪ দফায় প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা।

প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে সন্দ্বীপ উপজেলার দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহরি সামগ্রী বিতরণের ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০২৩ সালেও সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উরিরচর সহ প্রতিটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরণ করেন মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত এই নেতা। এছাড়াও সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে প্রতি মাসে তার প্রতিষ্ঠিত আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন প্রয়োজনে আবেদনের ভিত্তিতে অর্ধশতাধিক পরিবারকে মাসিক হারে অর্থ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।

মৃৃদুভাষী এই সমাজ-সংগঠক কাদের মিয়া নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেও রয়েছেন। ছাত্রজীবনে আব্দুল কাদের মিয়া ডা. ফজলুল হাজেরা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৯১-৯২) ও গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের (১৯৮৯-৯০) দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি কতটা আশাবাদি জানতে চাইলে এ সংবাদদাতাকে আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, পুরোটাই নির্ভর করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিবেচনার ওপর।

তার নির্দেশ-আদেশ শিরোধার্য। মনোনয়ন পেলে যাতে নেত্রীর সম্মান অটুট রাখতে পারি সে প্রস্তুতি আগের টার্ম থেকেই রয়েছে। এলাকার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে কোন কমতি নেই। নির্মাণ ব্যবসায় বিপুল অর্থবিত্তের মালিক কাদের মিয়া জানালেন, পরিবারের অনুমতি পেয়েছি। মার্কিন সিটিজেনশিপ ত্যাগ করতে হলেও কোন বাধা নেই।

স›দ্বীপের মুজিব আদর্শের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত নিজকে নিয়োজিত রাখতে চাই। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন মুল্লুকে চলমান অপপ্রচারণা রুখে দিতেও কাদের মিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সময়ে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, জর্জিয়া, নিউঅর্লিন্স, নিউ হ্যামশায়ার স্টেট পার্লামেন্ট এবং স্টেট গভর্ণরগণের কাছে থেকে প্রক্লেমেশন সংগ্রহে নেতৃত্ব প্রদানকারি টিমের অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করা কাদের মিয়া এখনও থেমে নেই।

মোঃ ইলয়িাস খান মোঃ ইলয়িাস খান নিউইয়র্কে বসবাসরত বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ নেতা ধানের শীষ নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অবতীর্ণ হতে চান। একজন শিক্ষিত সফল ব্যবসায়ী ও তরুণ পরচ্ছিন্ন রাজনীতিক। হাজারো মাইল দূর নিউইয়র্কে থেকেও সবসময় শেরপুর জেলা সদর সংলগ্ন নকলা-নালিতাবাড়ির মানুষের পাশে রয়েছেন। অভিভাবকহীন নকলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সুখ-দুঃখে সহায়তা দিচ্ছেন।

দলীয় কর্মসূচির কারণে কেউ নিগৃহিত হলে অথবা মামলার আসামী হলে তাদেরকে মুক্ত করতে সর্বদা সজাগ রয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি জনসেবামূলক যে কোন কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশ ক’বছর ধরেই। ঢাকার আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স করা ইলিয়াস খান ১৯৯৬ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। অধ্যায়ন করেছেন আইন বিষয়ে।

পার্টটাইম চাকরির পথ বেয়ে ২০০৪ সালে নেমেছেন সুপার মার্কেট ব্যবসায়। বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে কাওরান বাজার নামে তিনটি সুপার মার্কেটের মালিক। রয়েছে ১২০ কক্ষের থ্রি-স্টার হোটেল, কম্যুনিটি সেন্টার ও পার্টি হল। ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত ইলিয়াস খান ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্যের পদলাভ করেন। ময়মনসিংহ সরকারী কমার্স কলেজের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যয়নের সময়েও ছাত্রদলের সংগঠক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক পদে অধিষ্ঠিত হন ইলিয়াস খান।

২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুব ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব এবং ২০১১ সালে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সাংগঠনিকভাবে প্রবাসের ন্যায় নকলা-নালিতাবাড়িতেও সমধিক জনপ্রিয় ইলিয়াস খান শেরপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নের চেষ্টায় রয়েছেন। অতি সম্প্রতি তারেক রহমানের গ্রীণ সিগন্যালে ইলিয়াস খানকে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক করা হয়েছে।

ইলিয়াস খান করোনাকালে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। মুক্ত হস্তে দান করেছেন নগদ অর্থ এবং খাদ্য-সামগ্রি। নকলায় বিএনপির প্রায় সকল কর্মসূচিতে থাকে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। কখনো সশরীরে আবার কখনো ভার্চুয়ালে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সদালাপি ও মিষ্টভাষী ইলিয়াস খান এ সংবাদদাতাকে বলেন, বিএনপি এখনও নির্বাচনে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়নি। সে অনুযায়ী তৈরী রয়েছি এবং এলাকার দল ও সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি, মনোনয়ন পেলে যাতে মাঠে নামতে কোন দুর্বলতা না থাকে।

ব্যবসায় বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক ইলিয়াস খান বলেন, নিজের কিছু চাওয়ার নেই। দলীয় আদর্শকে সামনে রেখে এলাকা তথা প্রিয় মাতৃভ’মির কল্যাণে বাকিটা জীবন কাটাতে চাই। ড. মাহাবুবুর রহমান টুকু বরগুণা-২ আসন থেকে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনী ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ নেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারির পুত্র ড. মাহাবুবুর রহমান টুকু। গত নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভাগ্য প্রসন্ন হয়নি।

এবার আট-ঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন সেই করোনা মহামারির সময় থেকেই। সংকটে পড়া লোকজনের বাসায় খাদ্য-সামগ্রি অথবা নগদ অর্থ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মকান্ডেও সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে বরগুণা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড. মাহাবুবুর রহমান টুকু একইসাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগেরও যুব বিষয়ক সম্পাদক।

পেশায় ব্যবসায়ী হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রদানে কোন সমস্যা হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে এমএ এলএলবি করে যুক্তরাষ্ট্রে বসতি গড়ার পর অতি সম্প্রতি তিনি পিএইচডি করেছেন বিজনেস-উদ্যোক্তা বিষয়ে। সবকিছু মিলিয়ে উদ্যমী যুবক টুকু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরাসরি ভ’মিকা রাখতে বদ্ধপরিকর।

ড. টুকু সামনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এজন্যে তিনি নিরলসভাবে সাংগঠনিক দায়িত্বের পাশাপাশি সেবামূলক নানা কর্মকান্ড চালাচ্ছেন দেশ ও প্রবাসে। গত ঈদেও এলাকার অসহায় মানুষকে কাপড়-চোপড় দিয়েছেন। সামনের ঈদেও কুরবানী দেবেন নির্বাচনী এলাকার বেশ কটি স্থানে। টুকু জানালেন, প্রতি সপ্তাহেই দলীয় সভা-সমাবেশ হচ্ছে আমার সহায়তায়। নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতির জন্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম কাজ করছে। দু:স্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে চাল, ডাল, আলু, নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে।

কণ্যা দায়গ্রস্ত পিতাকেও অর্থ সহায়তা দিচ্ছি। স্টুডেন্ট বৃত্তি চালু করেছি। ২০০৮ সাল থেকেই রয়েছি সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে। আর এ দায়িত্বটি পালনে অনুপ্রেরণা পেয়েছি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকে। ড. টুকু বললেন, ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি। তবে এলাকার সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক এক মুহুর্তের জন্যেও ছিন্ন করতে পারিনি।

হালে ফেসটাইম আর হুয়াটসঅ্যাপ সেই যোগসূত্রকে আরো নিবিড় করেছে। দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ছাত্রলীগের পুরনো নেতা, যারা এখন যুবলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পাশে পেয়েছি। নীতি-আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হয়নি বলে সকলেই আমাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন। তবে মনোনয়নের ব্যাপারটি একান্তভাবেই নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরশীল।

তিনি আশির্বাদ দিলে অবশ্যই নৌকাকে আমার এলাকা থেকে বিজয়ী করে আনতে চেষ্টার ক্রুটি থাকবে না। ছাত্রজীবন থেকে প্রবাসের বর্তমান জীবনেও সবকিছু করছি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এপেক্স বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মকর্তা হিসেবে সুনামের সাথে সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনার অভিজ্ঞতাকে এলাকার মানুষের সামগ্রিক স্বার্থে ব্যবহারে প্রত্যাশী ড. টুকু আরো বললেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে বাকিটা জীবন অতিবাহিত করতে চাই।

দিনাজ খান ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে মুন্সিগঞ্জ-৩ অর্থাৎ টুঙ্গিপাড়া আসন থেকে নির্বাচনে আগ্রহী ফ্লোরিডা তথা যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীগণের অন্যতম মোহাম্মদ দিনাজ খান। বিএনপির ফ্লোরিডা স্টেট কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতেও গুরুত্বপূর্ণ একজনে পরিণত হওয়া দিনাজ খান নিজের কর্মনিষ্ঠা গুণে ফ্লোরিডার বিভিন্ন স্থানে ৩০টিরও অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন শতাধিক বাংলাদেশী। ৩৯ বছর যাবত যুক্তরাষ্ট্রে বাস করলেও এলাকার সাথে সম্পর্ক নিবিড় রাখতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি বলেই গত বছর পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ঢাকার জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা দিনাজ খান বিএনপির আদর্শের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে সকল কর্মকান্ডে তার প্রকাশ ঘটিয়ে আসছেন। এলাকার দু:স্থ-অসহায় মানুষের হৃদয় জয়ে সক্ষম হয়েছেন করোনাকালে বিপুল অর্থ-সামগ্রি নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে।

বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ডেও দিনাজ খানের স্পর্শ সরব থাকে সব সময়। ফ্লোরিডা-টুঙ্গিবাড়ির মধ্যে অঘোষিত একটি নেটওয়ার্ক তৈরী হয়েছে দিনাজ খানের মাধ্যমে। কোন কোন সময় শুধু বিএনপির কর্মী-সমর্থক নয়, অন্য দলের অসহায় মানুষেরাও দিনাজ খানের অনুগ্রহ পেয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কর্মকান্ডে দীর্ঘদিনের অবদানের বিষয়টি দলের হাই কমান্ডেও এখন অজানা নেই।

তাই দিনাজ খানের ধারণা বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে তার মনোনয়ন নিশ্চিত। তিনি এ সংবাদদাতার সাথে আলাপকালে জানান, টুঙ্গিপাড়া থেকে বিএনপির মনোনয়ন এর আগেও চেয়েছিলাম। পাইনি বলে দমে যাইনি। দলের আদর্শে অবিচল আস্থাশীল থেকে প্রতিনিয়ত সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত রয়েছি।

আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি বেগম জিয়ার মুক্তির জন্যে মার্কিন প্রশাসনেও দেন-দরবার চালাচ্ছি। দিনাজ খান বলেন, বিএনপির ১০ দফা কর্মসূচি আদায়ে প্রবাসেও কাজ করছি এবং আশা করছি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আবারো ক্ষমতায় আসবে ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মতো। সেই ঐতিহাসিক নির্বাচনে একজন প্রার্থী হতে পারলে প্রবাস জীবনের কর্মকান্ড উদ্ভাসিত হবে এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবো-তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করছেন প্রবাসে ব্যবসা-সফল ব্যক্তিত্ব দিনাজ খান।


মোর্শেদা জামান নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের নারী নেতৃত্বের অন্যতম মোর্শেদা জামান। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে পুরস্কার পাওয়া মোর্শেদা জামান জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থেকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন চান। আর এ লক্ষ্যে মাঝেমধ্যেই এলাকায় যাতায়াত করছেন। দু:স্থ ও অসহায় মানুষের পাশে কখনো কম্বল, কখনো নগদ অর্থ, কখনো চাল-ডাল-আটা-নুন কিংবা গৃহহারা মানুষের জীবীকার অবলম্বন হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করছেন।

মোর্শেদা জামান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের কর্মকান্ডে সক্রিয়। নিজেকে মুজিব আদর্শে উৎসর্গ করেছেন এক যুগেরও অধিক সময় যাবত। পদ-পদবির ধার ধারেননি, নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করছেন। সেই কাজের ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য হতে চাচ্ছেন। অর্থ-বিত্ত নিয়ে বিন্দুমাত্র পিছু টান না থাকায় এলাকাবাসীর কথা ভাবতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

গরিব-দুখীদের জন্যে নিজেকে উজার করেদিতে বদ্ধপরিকর মোর্শেদা জামান বলেন, চেষ্টা করছি নমিনেশনের জন্যে। কাজও করছি বিনাবাক্য ব্যয়ে। শেখ হাসিনা আমাদের নেতা। তিনি আশির্বাদ করলেই আমার প্রত্যাশা পূরণ হবে। ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে গত কয়েক বছর এলাকার সাধারণ মানুষের জন্যে যে কাজ করছি তা আমার বিজয়ের পথ সুগম করবে।

সরিষাবাড়ির আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর সমর্থন রয়েছে। তৃণমূলের মানুষ আমি তাই মনোনয়ন পেলে পরদিন থেকেই নৌকার পক্ষে ভোটের জোয়ার তৈরী হবে সরিষাবাড়ির সীমানা পেড়িয়ে জামালপুর জেলার সর্বত্র।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নিজের সেবামূলক কর্মকান্ডের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির অভিপ্রায়ে সরিষাবাড়িতে ‘মোর্শেদা ফাউন্ডেশন’ গঠন করেছেন। বণ্যা, খরা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিপতিত এলাকাবাসীর কাছে এই ফাউন্ডেশন এখন ত্রাণ কর্তায় পরিণত হয়েছে। প্রতি বছরের মত গত বন্যাতেও সয়লাব এলাকায় নৌকাযোগে শুকনা খাবার হিসেবে চিড়া,গুড়, মুড়ি ইত্যাদি বিতরণ করেছে এই ফাউন্ডেশন।

এগুলো লোক দেখানো নয়, কারণ, অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও নিউইয়র্ক থেকে জামালপুরে নিজ এলাকায় ছুটে যান মোর্শেদা জামান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তথা বঙ্গবন্ধুর খাঁটি একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছি। এটি অব্যাহত রাখবো যতদিন শক্তি ও সামর্থ্য আছে। বাড়তি হিসেবে যদি নেত্রীর আশির্বাদ লাভে ধন্য হই, তাহলে এলাকাবাসী অবশ্যই বিমুখ করবেন না। কারণ, এলাকার সাথে আমার যে সম্পর্ক সেটি একেবারেই নি:স্বার্থ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন